কিশোরগঞ্জে ১০ বছর বয়সী হেফজ বিভাগের এক ছাত্রকে যৌ’ন নি’র্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মা’মলায় হাফেজ বেলাল হোসেন বিল্লাল নামে এক মাদরাসা শিক্ষককে গ্রে’ফতার করেছে র্যাব
বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার বিশ্বনাথপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রে’ফতার করা হয়।
গ্রে’ফতার হওয়া হাফেজ বেলাল হোসেন বিল্লাল কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নগুয়া শ্যামলী রোডে প্রতিষ্ঠিত জামিয়াতুস সুন্নাহ কিশোরগঞ্জ নামে একটি মাদরাসার শিক্ষক এবং ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পাড়া পাঁচাশি গ্রামের মো. মজিবুর রহমানের ছেলে।
র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম শোভন খান জানান, ছাত্রকে যৌ’ন নির্যাতনের অভিযোগে গত ৩০ আগস্ট কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থা’নায় ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ বেলাল হোসেন বিল্লাল এবং মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা মুফতি হোসাইন মোহাম্মদ নাঈমকে আসামি করে মা’মলা দায়ের করেন।
মামলায় মাদরাসার শিক্ষক বিল্লালের বিরুদ্ধে ছাত্রকে যৌ’ন নি’র্যাতনের অভিযোগ এবং অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা মুফতি হোসাইন মোহাম্মদ নাঈমের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত শিক্ষক বিল্লালকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে।
মা’মলার পর র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামি গ্রে’ফতারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে গৌরিপুর উপজেলার বিশ্বনাথপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত হাফেজ বিল্লালকে র্যাব গ্রেফতার করে।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আসামিকে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থা’নায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থা’নার ওসি মো. আবুবকর সিদ্দিক জানান, র্যাবের হাতে গ্রে’ফতার হওয়ার পর শুক্রবার বিকেলে ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ বেলাল হোসেন বিল্লালকে থা’নায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া মামলার অপর আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।