জেনে যাওয়ায় কাল হলো নববধূর-চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় বিয়ের দুই মাসের মাথায় লাশ হলেন এক নববধূ। নিহতের নাম নিগার সুলতানা পুষ্পা। গতকাল বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে তার লা’শ উ’দ্ধার করে পু’লিশ। একইদিন
বিকেলে পশ্চিম গোমদন্ডী ইউনিয়নের চরখিজিরপুর মহল্লার তালুকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নববধূ পুষ্পা বোয়ালখালী পৌর সদরের সাত নম্বর ওয়ার্ডের জঙ্গা তালুকদার বাড়ির আহমদ মিয়ার মেয়ে। দুই মাস আগে চরখিজিরপুর মহল্লার তালুকদার বাড়ির মো. হেলালের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
নিহতের বড় ভাই মো. সাব্বিরের দাবি, স্বামী হেলালের সঙ্গে তার বড় ভাবির অ’বৈধ স’ম্পর্ক রয়েছে। বিয়ের কয়েকদিন না যেতেই পুষ্পা বিষয়টি জানতে পারেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে পুষ্পার ওপর নি’র্যাতন চা’লাতেন হেলাল। তাই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নি’হত পুষ্পার মা রাবেয়া বেগম বলেন, গত
লকডাউনে আমার পরীর মতো একমাত্র মেয়ের ঘটা করে বিয়ে হয়। বিধিনিষেধ থাকায় সে সময় অনুষ্ঠান করা হয়নি। শুধুমাত্র আকদ পড়ে তারা মেয়েকে তুলে নিয়ে যান। এখন বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজনের কথাবার্তা চলছিল। এরই মধ্যে মেয়ের মৃত্যুর খবর এলো। অস্বীকার করে স্বামী হেলাল বলেন, বুধবার বিকেল সাড়ে
৩টার দিকে পুষ্পা রাগ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরও সাড়াশব্দ না পেয়ে তার বাবার বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে দরজা ভেঙে তাকে ঝু’লন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখান থেকে উ’দ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃ’ত ঘো’ষণা করেন।
বোয়ালখালী থানার ওসি মো. আবদুল করিম বলেন, লা’শের ম’য়নাতদন্ত হয়েছে। বিষয়টি ত’দন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া এ ঘ’টনায় অ’পমৃত্যু মা’মলা হ’য়েছে। বিষয়টি ত’দন্ত করে দেখা হচ্ছে।