কুমিল্লা সিটি কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহা হ’ত্যা মা’মলার প্রধান আসামি শাহ আলমকে (২৮) জানাজা ছাড়াই দাফন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার ম’রদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর তার ম’রদেহ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হলেও জানাজা ও দাফনের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। এছাড়া শাহ আলমের পরিবারের কেউ ছিলো না সেখানে। পরে বিকেল ৩টার দিকে জানাজা ছাড়াই নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। এ সময় পুরো এলাকাজুড়ে ছিলো পু’লিশের কড়া নিরাপত্তা।
বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার চাঁনপুরস্থ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও কোতয়ালি মডেল থা’না পু’লিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নি’হত হন শাহ আলম। তিনি নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার মৃ’ত জানু মিয়ার ছেলে।
এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় একইভাবে টিক্কারচর কবরস্থানে দাফন করা হয় ‘বন্দুকযু’দ্ধে’ নি’হত মাম’লা’র তিন নম্বর আসামি সাব্বির হোসেন ও পাঁচ নম্বর আসামি মো.সাজনকে। তাদেরকে জানাজা দিতেও কেউ আসেনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে শাহ আলমের ম’রদেহ টিক্কারচর ঈদগাহে নেওয়া হয় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে। এ সময় কবর খোঁড়ার জন্য লোক পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরবর্তীতে স্থানীয় এক বাসিন্দা মাটি খুঁড়ে দেন। কিন্তু বেলা ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হলেও শাহ আলমের জানাজা পড়াতে কোনো মাওলানা ও মুসল্লি আসেননি। পরে জানাজা ছাড়াই ম’রদেহ দাফন করা হয়।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থা’না পু’লিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, এলাকাবাসী শাহ আলমের দাফনের সময় সমস্যা করতে পারে এই আশ’ঙ্কায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলি’শ মোতায়েন করা হয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরও জানাজায় অংশ নিতে কেউ না আসায় জানাজা ছাড়াই লা’শ দাফন করতে হয়েছে।