খু’ন করে আত্মগোপনে চিল্লায় গিয়েছিলো খু’নি। এরপরও হয়নি শেষ রক্ষা। কিশোরগঞ্জ সদরের রমিজ উদ্দিন হ’ত্যাকা’ণ্ডের মূল হোতা মুয়াজ্জিন জাকির হোসেনকে গ্রে’ফতার করেছে র্যাব। পরিবারের সদস্যদের স’ন্দেহ এবং এলাকাবাসীর তথ্যের ভিত্তিতেই শনাক্ত করা হয় হ’ত্যাকারীকে। র্যাব জানিয়েছেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হ’ত্যার কথা স্বীকারও করেছে জাকির হোসেন।
র্যাব জানায়, কমদামে গরু কিনে দেয়ার শর্তে নিহ’ত রমিজউদ্দীনের পরিচয় হয় মুয়াজ্জিন জাকির হোসেনের সাথে। সে অনুযায়ী গত ২ অক্টোবর রাতে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে যান ৬ লাখ টাকা নিয়ে। কিন্তু তাকে খু’ন করে সাথে থাকা টাকা লুটে নেয় জাকির।
ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর লক্ষীপুরের রামগতী থেকে তাকে গ্রে’ফতার করা হয়। খু’নের ঘটনা লুকাতে ৩ অক্টোবর সকালেও মসজিদে আযান দেয় মুয়াজ্জিন জাকির অংশ নেয় নামাজে।
র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, খু’ন করার পর সে গোসল করে মসজিদে যান। সেখানে আজান দেন। এরপর এলাকায় খোঁজখবর রাখেন ওই হ’ত্যাকা’ণ্ড নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা হচ্ছে কিনা।
তিনি আরও জানান, নিহ’ত রমিজ উদ্দীনের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন এবং মূল হোতা জাকিরের এলাকা ছাড়ার ঘটনা থেকেই সন্দেহের শুরু। তবে যেহেতু সে চিল্লাতে ছিল তাই তার অবস্থান শনাক্ত করতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। কারণ, চিল্লায় যারা যায় তারা সর্বদা তাদের অবস্থান বদল করেন।
টাকার জন্য গত দুই মাস ধরেই রমিজকে খু’নের জন্য জাকির পরিকল্পনা করছিলো বলেও জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে। এছাড়া লুটের ৬ লাখের ১ লাখ টাকা বিভিন্ন খাতে খরচের কথাও জানিয়েছে মূল হোতা জাকির।