১৬ মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে স্বামীর সন্ধানে বের হন ২৫ বছর বয়সী স্ত্রী। কিন্তু পথেই মেলে দেখা। তবে একা নয়, সঙ্গে রয়েছেন স্বামীর বন্ধুসহ কয়েকজন। তারা সবাই মিলে গৃহবধূকে ধ’র্ষ’ণ করেন। অথচ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দৃশ্যটি দেখেছেন স্বামী।
ঘটনাটি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার। স্বামীর সহায়তায় গৃহবধূকে গণধ’র্ষণের ঘটনায় চার যুবককে আট’ক করেছে পু’লিশ। বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম। এর আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন থেকে তাদের আ’টক করা হয়।
আট’করা হলেন- নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের জেলে কলোনীর এনায়েতের ছেলে আক্তার, একই ইউনিয়নের বান্দাখালী গ্রামের মাকসুদুল হকের ছেলে হক সাব, মদিনা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে গৃহবধূর স্বামী সোহেল ওরফে রোহিঙ্গা সোহেল ও জেলে কলোনির সাইদুল হকের ছেলে রাশেদ মাঝি।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১৬ মাসের শিশুকে নিয়ে স্বামী সোহেলের সন্ধানে যাচ্ছিলেন। হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ঘাটে পৌঁছালে তার হাত-মুখ ওড়না দিয়ে বেঁধে নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বান্দাখালী গ্রামে নদীর পাড়ে নিয়ে যান স্বামী সোহেলসহ আরো ১০ জন। সেখানে তাকে পালাক্রমে ধ’র্ষণ করেন সবাই। এ সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী।
হাতিয়া থা’নার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নি’র্যাতন দমন আইনে মাম’লা করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। আ’টকদের গ্রে’ফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। বাকিদেরও গ্রে’ফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।